Ben Stokes no ball drama at the Ashes. অ্যাশেজে বেন স্টোকসের নো বল নিয়ে নতুন নাটক। ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন পল রাইফেল এবং রড টাকার। টিভি আম্পায়ার হিসেবে আছেন পল উইলসন।
ক্রিকেট যত আধুনিক হয়েছে, ততই আধুনিক হয়েছে প্রযুক্তি। আম্পায়ার মানুষ। দেবতা নন। কয়েক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। সে কারণে প্রযুক্তিগত দাপাদাপি। কিন্তু সেই প্রযুক্তি থেকেও যদি বিরাট ভুল হয়, তাহলে কি লাভ? ভয়ংকর ব্যাপার! ঘটনাটা এভাবে এককথায় বলাই যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে একটি ‘নো বল’ ধরতে না পারাই ব্যর্থতা।
সেখানে টেস্টে, তাও এক সেশনেই কোনো বোলার ১৪ বার (Ben Stokes no ball in Ashes) ‘ওভারস্টেপ’–এর ‘অপরাধ’ করলে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেসব ডেলিভারি যদি আম্পায়ারদের চোখ এড়িয়ে যায়, তাহলে তো সেটা ভয়ংকর ব্যাপারই। চলতি অ্যাশেজ সিরিজের ব্রিসবেন টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল সেভেন’ (Channel 7)-এর ক্যামেরায়।
গুরুতর কারিগরি ত্রুটি হিসেবে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। চ্যানেল সেভেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্টোকসের প্রথম ৫ ওভারে ১৪ বার “ওভারস্টেপের” (14 no balls) ঘটনাটি ধরেছেন চ্যানেল সেভেনের ট্রেন্ট কোপল্যান্ড।’ এর মধ্যে দুটি ডেলিভারি ‘নো বল’ ধরেছেন আম্পায়ার। ওয়ার্নার ১৭ রানে ব্যাট করার সময় টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার পর প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আসেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
চতুর্থ ডেলিভারিতে ওয়ার্নারকে বোল্ড করলেও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ডেলিভারিটি ‘নো বল’ ছিল। এর বাইরে স্টোকসের আরেকটি অবৈধ ডেলিভারি ‘নো বল’ হিসেবে ধরতে পেরেছেন আম্পায়ার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারকে তখন বেশ খেপে যেতেও দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পরই চ্যানেল সেভেনের ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ওভারে স্টোকসের আগের তিনটি ডেলিভারিই ‘নো বল’ ছিল।
প্রতিবারই ‘ওভারস্টেপ’ করেন ইংল্যান্ড তারকা। কিন্তু একটিও আম্পায়ার কিংবা টিভিপ্রযুক্তি ধরতে পারেনি! বেশ কিছুক্ষণ পর সেভেনের ভিডিওতে দেখানো হয়, স্টোকস প্রথম সেশনে এমন ১৪টি ‘ওভারস্টেপ’ ডেলিভারি করেছেন, যার প্রতিটিতে তিনি বোলিং ক্রিজের দাগ পেরিয়ে গেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (Cricket Australia) এরপর হঠাৎ করেই জানায়, টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই আইসিসির লাইভ রিভিউ প্রযুক্তি (ICC Live Review system) ঠিকমতো কাজ করেনি।
ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ‘নো বল’ ধরা পড়েনি। তবে এর মানে এই নয় যে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা নো বল করেছিলেন ঠিকই, প্রযুক্তির ব্যর্থতায় তা ধরা পড়েনি। কামিন্স-স্টার্করা নো না–ও করতে পারেন। কিন্তু আজ এক বোলারেরই ১২টি ডেলিভারি চোখ এড়িয়ে যাওয়ার পর ‘নো বল’ ছাড়া প্রথম দিন নিয়ে ভ্রুকুটি জাগতেই পারে।
অ্যাশেজের মত ক্রিকেটের বড় আসরে এরকম ভুল ক্ষমার অযোগ্য। রিকি পন্টিং (Ricky Ponting) থেকে শুরু করে ম্যাথু হেডেনের মত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং এর মান নিয়ে। ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন পল রাইফেল (Paul Rifle) এবং রড টাকার। টিভি আম্পায়ার হিসেবে আছেন পল উইলসন। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত। আজ এই ভুল ধরা পড়ায়, তৃতীয় দিন থেকে সতর্ক হয়ে যাবেন ফিল্ড এবং টিভি আম্পায়াররা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন