টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) আফগানিস্তানকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাবর আজমদের জয় ৫ উইকেটে। এদিকে, দলের ব্যর্থতার দিনে অনবদ্য নজির গড়েছেন আফগান তারকা বোলার রশিদ খান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া উইকেট নেওয়ার সুবাদে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রশিদ।
তবে একই ফরমেটে রশিদের আগে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, লঙ্কান কিংবদন্তি বোলার লাসিথ মালিঙ্গা এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি এমন কৃতিত্ব গড়লেও সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড এখন কেবল রশিদের।
সাকিব-মালিঙ্গাদের চেয়ে অনেক কম ইনিংস খেলে এমন অনন্য নজির গড়েছেন তিনি। রশিদ মাত্র ৫৩টি ইনিংসে বল করেই উইকেটের সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। অন্যদিকে, মালিঙ্গা ৭৬, সাউদি ৮২ ও সাকিব ৮৩টি ইনিংসে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন।
যদিও উইকেট সংখ্যায় তিন নম্বরে রয়েছেন রশিদ। বর্তমানে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে রশিদের উইকেট সংখ্যা ১০১। পেছনে ফেলেছেন সাউদিকে। যার উইকেট সংখ্যা ১০০। আফগান লেগ স্পিনারের সামনে রয়েছেন শুধু মালিঙ্গা (১০৭) ও সাকিব (১১৭)।
এদিকে, চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দুর্দান্ত কাটছে পাকিস্তানের। ব্যাট-বল কিংবা ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুরন্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে টুর্নামেন্টে এখনো অপরাজিত রয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে ভারত ও দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পর সবশেষ রশিদদের বিপক্ষেও দুর্দান্ত জয় তাদের।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাবর আজমের ৫১ ও ফখর জামানের ৩০ রানে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে অবিচল থাকে পাকিস্তান। শেষ দিকে শোয়েব মালিকের ১৯ ও আসিফ আলির ৭ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে জয় তুলে নেয় পকিস্তান। আফগানিস্তানের হয়ে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন রশিদ। একটি করে উইকেট পান মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি ও নাভীন উল হক।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে মোহাম্মদ নবি বাহিনী তুলেছে ১৪৭ রান। জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ১৪৮ রান। ১৩ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় আফগানিস্তান। শূন্য রানে হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের পর ৮ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদও।
স্কোর বোর্ডে আর ২৬ রান যোগ হতে না হতেই আরও দুই উইকেট খুইয়ে ফেলে মোহাম্মদ নবি বাহিনী। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও আসগর আফগান দুজনেই তুলেন ১০ রান করে। সেখান থেকে দলের চাপ সামাল দেন করিম জানাত ও নজিবুল্লাহ জাদরান। করিম ১৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর জাদরান আউট হন ব্যক্তিগত ২২ রানে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন