পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই মুশফিকের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়।
চোটের কারণে নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তবে মুশফিক খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট ছিলেন। দুবাই থেকে দেশে ফিরে একা একা অনুশীলনও করেছেন।
তার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে কেন স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর টানা চার টেস্টে খেলানোর জন্য মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যদিও মুশফিক জানিয়েছেন, তিনি বিশ্রাম চাননি। পাকিস্তান সিরিজ খেলতে চেয়েছিলেন।
তবে ক্রিকেটের এই ক্ষুদে সংস্করণে ফর্মহীনতার জন্যই যে পাকিস্তান সিরিজে বাদ পড়েছেন মুশফিক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে মুশফিকের ব্যাট না হাসার কারণ জানিয়েছেন তার বাবা মাহবুব হামিদ।
যুগান্তরকে তিনি বলেন, বিশ্বকাপে মুশফিকের পারফরম্যান্স নিয়ে আমিও হতাশ। তার কাছে আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু তার প্রস্তুতি আশানুরূপ হয়নি। ফলে আরব আমিরাতে ভালো করেনি। আসলে কিপিং করলে ব্যাটিং ভালো করতে পারে মুশফিক। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সফরসহ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে কিপিং দেওয়া হয়নি। বায়ো বাবল বিধির কারণে তো অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলেইনি মুশফিক।
মাহবুব হামিদের কথা স্পষ্ট যে, কিপিং ছেড়ে দেওয়ায় ব্যাটিংয়ে রান পাচ্ছেন না মুশফিক। বিশ্বকাপেও কিপিং করেননি তিনি। সেখানেও ব্যর্থ বাংলাদেশের এ সেরা ব্যাটসম্যান।
কিপিংয়ে মুশফিককে না রাখার পেছনে নিজেকেই দায়ী করলেন বাবা মাহবুব হামিদ। তিনি জানান, জিম্বাবুয়ে সফরে তিনি ও মুশফিকের মা করোনায় আক্রান্ত হলে সিরিজ বাদ দিয়ে দেশে ফিরে আসেন মুশফিক। ওই সিরিজে নুরুল হাসান সোহান সুযোগ পেয়ে ভালো কিপিং করেন। পরবর্তী সময় মুশফিক আর গ্লাভস হাতে নেননি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন