বাংলাদেশের জার্সিতে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ারের শুরু কাছাকাছি সময়ে। ব্যাট হাতে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটানো এবং নান্দদিক শট খেলার কারণে তাদের নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের ধারাবাহিকতা যেন কোথায় হারিয়ে গেল। তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও অবশ্য তাদের ওপর আস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সেই আস্থায় এবার চিড় ধরেছে। এর মূল কারণ অবশ্যই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের দুজনের চরম ব্যর্থতা। তাই এবার তাদের দুজনকেই সরিয়ে দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতা শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দলের একাংশ। কিন্তু বিমানবন্দরে অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে তারা কোনো কথা বলেননি। চুপচাপ যার যার গাড়িতে বসে গন্তব্যে ফিরে গেছেন তারা। এমনকি বিসিবির পক্ষ থেকেও কোনো কথা শোনা যাচ্ছে না। তবে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিসিবি সভাপতির সঙ্গে এক গোপন সভায় বসেছিলেন বোর্ড কর্মকর্তারা। সেখানে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, গেম ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন, সিসিডিএমের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদের সাথে আরো দুই বোর্ড পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, জালাল ইউনুস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে লিটন দাস রান করেছেন যথাক্রমে- ৫, ৬, ২৯, ১৬, ৯, ৪৪, ২৪ এবং ০। সৌম্য সরকার ৪ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেছেন যথাক্রমে- ৫, ১৭, ০ এবং ৫ রান। অন্যদিকে সমালোচকদের আয়না দেখার পরামর্শ দিয়ে বিপদে পড়া মুশফিক প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮ এবং মূল পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৬৪ বাদে বাকি ম্যাচগুলোতে করেছেন ৬, ৫, ৮, ০ এবং ১। এই তিনজনের পারফরম্যান্স নিয়েই নাকি সভায় আলোচনা হয়েছে।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে লিটন ও সৌম্যকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে মুশফিকুর রহিমের পারফরম্যান্স নিয়েও নাকি আলোচনা হয়েছে। তবে দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে নাকি আরও একবার সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে নিয়েও চরম সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে। অবশ্য আসছে পাকিস্তান সিরিজে তাকেই দায়িত্বে রাখা হবে। কিন্তু তার বিকল্পও খোঁজাও শুরু হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাঁধেই নাকি টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন