শেষ হয়েছে চার দিনের খেলা। তাতেই জয় দেখছে পাকিস্তান। অতি আশ্চর্য কিছু না ঘটলে চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে চলেছে সফরকারী। আগামীকাল মঙ্গলবার টেস্টের শেষ দিন। জয়ের জন্য পাক শিবিরের দরকার মাত্র ৯৩ রান। হাতে আছে ১০ উইকেট। যদিও ম্যাচটি আজই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আলো স্বল্পতার কারণে প্রায় ২০ ওভার আগেই শেষ হয়ে যায় দিনের ম্যাচ।
অথচ লিডটা বড় হলে চিত্র ভিন্ন হতে পারত। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ আহামরি কিছু করতে পারেনি। মাত্র ১৫৭ রানে অল আউট হয় মুমিনুল শিবির। আর তাতে পাকিস্তানের জন্য জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২০২ রান। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোমবার দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৯। দুই ওপেনারই ফিফটি করে আছেন অপরাজিত। আবিদ আলীর রান ৫৬, শফিকের ৫৩।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে আজ মাঠে নামেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী। ১২ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক এদিন যোগ করতে পারেন মাত্র চার রান। দিনের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন তিনি। যদিও শুরুটা করেন দারুণ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। কিন্তু এক বল পরেই বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন মুশফিক। ৩৩ বলে দুই চারে ১৬ রান করেন তিনি।
এরপর জুটি বাঁধেন ইয়াসিরের সাথে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। প্রথম ঘণ্টা বেশ ভালোই কাটে দুজনের। পানি পানের এক ওভার আগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির আলী। শাহিন শাহ আফ্রিদির বল লাগে ইয়াসির আলীর হেলমেট। তিনি যতটা ভেবেছিলেন অতোটা ওঠেনি বাঁহাতি পেসার আফ্রিদির বাউন্সার। শেষ সময়ে চোখ সরিয়ে নেওয়ায় বলের লাইন থেক সরেও যেতে পারেননি ইয়াসির। ফিজিও আসার পর তার সাথে কথা বলে খেলা চালিয়ে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। পানি পানের বিরতির সময় ফিজিওর সাথে মাঠ ছাড়েন তিনি।
লিটন দাসের সাথে জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। খুব বেশিদূর আগাতে পারেননি মিরাজ। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ তিনি। ৪৪ বলে তিনি করেন ১১ রান। ভাঙে ৬৯ বলে ২৫ রানের জুটি। এরপর ইয়াসিরের কনকাশন সাব হিসেবে মাঠে নামেন নুরুল হাসান সোহান। লিটনের সাথে বেশ থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
কিন্তু ছক্কার চেষ্টায় আউট হন সোহান। কোনো দরকার ছিল না এমন কোনো শটের। লিড প্রায় ২০০ রানের। লিটনের সাথে জমে গেছে জুটি। নুরুল হাসান সোহানের দরকার ছিল স্রেফ সতীর্থকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া। সেটি না করে ছক্কার চেষ্টায় ফিরেন তিনি।
সাজিদ খানের সাদামাটা এক ডেলিভারিতে লং অনে ধরা পড়েন সোহান। ইয়াসির আলী চৌধুরীর কনকাশন সাব হিসেবে নামা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৩ বলে তিন চারে করেন ১৫ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৬১ বলে ৩৮ রানের জুটি।
দলীয় রান তখন ১৫৩। ১৫৭ রানের মাথায় লিটনের বিদায়ের পর সব ভেস্তে যায়। শাহিন শাহর বলে আউট হন টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি করে। ৮৯ বলে তিনি করেন ৫৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার।
পরের তিন টেল এন্ডার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ১৩ বল খেলে স্ট্যাম্পিং তাইজুল। তিন বলে খেলে শাহিনের বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন আবু জায়েদ রাহী। এবাদত এক বল খেলে থাকেন অপরাজিত, রান শূন্য। ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে ৫টি উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। সাজিদ খান তিনটি ও হাসান আলি দুটি উইকেট নেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন