ডিসেম্বর মাসে এ যেন বর্ষার আবহ। বাবর আজমদের কি হঠাৎই স্কুলের ‘রেইনি ডে’র কথা মনে পড়ছে! তুলনাটা কিছুটা যেন বেমানানই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানে কি ঘনঘোর বর্ষায় স্কুলে সেই আনন্দময় দিন কখনো দেখেছেন বাবর আজমরা? এ অভিজ্ঞতা তো বাংলার পুরোপুরি একান্ত!
ওই যে থই থই বৃষ্টির দিনে স্কুলে হাজির হয়ে আবিষ্কার করা চারদিকে ছুটি–ছুটি, ঢিলেঢালা ভাব। ক্লাসে উপস্থিতিও প্রায় নেই। তাই ক্লাসরুমকেই খেলার মাঠ বানিয়ে ফেলা। খাতা দিয়ে অনুভব করা ক্রিকেটের উত্তেজনা। সাকিব-মুমিনুলদের কাছে এমন কিছু মনে হয়েছে কি না, জানা নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে এই বৃষ্টিমেদুর দিনগুলোতে কী হচ্ছে, সেটি জানার কোনো উপায় নেই। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের টুইটার পেজ ঠিকই এক ভিডিও শেয়ার করে দেখিয়েছে বাবর আজমদের ‘রেইনি ডে’ উদ্যাপন।
শনিবার ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। প্রথম সেশনে তাইজুল ইসলামের সুবাদে বাংলাদেশ পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফেরাতে পারলেও বাকি সময়টা রাজ করেছেন অধিনায়ক বাবর আজম ও আজহার আলী। শনিবার আলোর স্বল্পতার কারণে শেষ সেশনের খেলা হয়নি।
গতকাল রোববার টেস্টের দ্বিতীয় দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৩৮ বল। দুই দিন মিলিয়ে ৬৩.২ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে পাকিস্তান করেছেন ২ উইকেটে ১৮৮। আজ তৃতীয় দিনে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে তা–ও হোটেল ছাড়তে হয়নি দুই দলকে। কিন্তু কাল তাদের মাঠে আসতে হয়েছিল। আর বৃষ্টি বিরতির সময়টা পাকিস্তান দলের কেটেছে ড্রেসিংরুমকে মাঠ বানিয়ে ক্রিকেট খেলে। ওদিকে খেলাটি সম্প্রচার করতে আসা টিভি ক্রুরাও কাল সময় কাটিয়েছেন ক্রিকেট খেলে।
কাল দিনটা আক্ষরিক অর্থেই ছিল সেই ছেলেবেলার বৃষ্টিমুখর দিনগুলোতে ফিরে যাওয়ার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন