ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই চলল ঝুম বৃষ্টি। তাতে ফুটবলের স্বাভাবিক ছন্দে ছেদ পড়ল কিছুটা। সেভিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফিরল বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুবিধা অবশ্য কাজে লাগাতে পারল না শাভি এরনান্দেসের দল। বাধ সাধল পোস্টও।
সেভিয়ার রামন সানচেস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচে ৫৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে বার্সেলোনা গোলের জন্য ২৩টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর স্বাগতিকদের পাঁচ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল।
অষ্টম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বার্সেলোনা। উসমান দেম্বেলের ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে ফেররান হুতগ্লার হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। দুই মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে দেম্বেলের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
চতুর্দশ মিনিটে সুযোগ আসে আরেকটি। জর্দি আলবার ক্রসে দূরের পোস্টে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের হেড সহজেই ঠেকান সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
২২তম মিনিটে সেভিয়ার রাফা মির বার্সেলোনার জালে বলে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ২৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে স্প্যানিশ এই স্ট্রাইকারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
৩০তম মিনিট আরেকটি সুযোগ পান দেম্বেলে। একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট বোনো ঠেকালেও বল হাতে রাখতে পারেননি। ঠিক সময়ে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার দিয়েগো কার্লোস।
এর পরপরই এগিয়ে যায় সেভিয়া। বার্সেলোনারই সাবেক মিডফিল্ডার ইভান রাকিতিচের কর্নারে ছুটে গিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেহান্দ্রো গোমেস।
বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। দেম্বেলের কর্নারে ডি-বক্সে অনেকটা লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার রোনালদ আরাহো।
৫৮তম মিনিটে দেম্বেলের কর্নারে বোনোর হাত ফসকে বল জালে জড়াতে যাচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। দুই মিনিট পর আব্দেসামাদের প্রচেষ্টা লক্ষ্য থাকেনি।
৬৪তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সেভিয়া। দুজনের চ্যালেঞ্জের পর টাচলাইনের বাইরে মেজাজ হারিয়ে আলবার মুখে হাত দিয়ে বল মেরে লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার জুল কুন্দে।
প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুবিধা নিয়ে তাদের ওপর চাপ বাড়ায় বার্সেলোনা। ৮০তম মিনিটে এসে যায় সুবর্ণ সুযোগও। কিন্তু আব্দেসামাদের ক্রসে গাভির হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
চার মিনিট পর বাধ সাধে দুর্ভাগ্য। সেভিয়ার দুই জনের বাধা এড়িয়ে দেম্বেলের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লাগে। যোগ করা সময়ে লুক ডি ইয়ংয়ের দুর্বল হেড ঠেকাতে সমস্যা হয়নি বোনোর।
১৮ ম্যাচে ১১ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেভিয়া। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। তিনে রিয়াল বেতিসের পয়েন্ট ৩৩।
সাতটি করে জয় ও ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে বার্সেলোনা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন