বাংলাদেশকে ফলোঅন করাবে নিউজিল্যান্ড! | New Zealand will follow Bangladesh!


ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের ৫২১ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের এমন সূচনা কল্পনাও করেননি অনেকে!

স্কোরবোর্ডে ১১ রান যোগ করতেই টপঅর্ডারের চারজন হাওয়া।  এর পর মাত্র ২৭ রানেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ৫ ব্যাটার।  

ফলে চোখরাঙানি দিচ্ছিল নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা।

কিন্তু উইকেটরক্ষক সোহান আর ইয়াসির আলি রাব্বির প্রতিরোধে সেই শঙ্কা কাটিয়ে দলীয় স্কোর শতক ছাড়ায়।

কিন্তু স্কোরকে বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি সোহান-ইয়াসির। ১২৬ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।  অর্থাৎ কিউই অধিনায়ক লাথামের অর্ধেক রান করতে পেরেছেন টাইগাররা।

এখনও ৩৯৫ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ। এদিকে দ্বিতীয় দিনের সমাপ্তি টেনেছেন আম্পায়াররা। তাই বাংলাদেশকে ফলোঅন করাবে কিনা নিউজিল্যান্ড, তা জানা যাবে তৃতীয় দিন সকালে।

আজ দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে সোহানের। ৪১ রানে তিনি সাজঘরে ফিরলে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকেন ইয়াসির। ৬০ রানের জুটি গড়েন তারা।

একের পর এক উইকেটে পড়তে দেখেন ইয়াসির। প্রথম মিরাজ ও পরে তাসকিন ফেরেন সাজঘরে।
 
৩৩ বল খেলে বোল্টের পেসে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান মিরাজ। এতে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩০০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ হয় বোল্টের।

এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক পূরণ করেন ইয়াসির। তবে তিনিও টেকেননি বেশিদূর। ৯৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৫ রান করে আউট হন।  কাইল জেমিসনের ডেলিভারিতে উইল ইয়ংয়ের হাতে ধরা দেন।

তিন বল পরেই বোল্টের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন শরিফুল। ৩ বলে মাত্র ২ রান করেন তিনি। 

শরিফুলের আউটের পর ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।  

এখনও ৩৯৫ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশকে ফলোঅন করাবে কিনা নিউজিল্যান্ড, তা জানা যাবে তৃতীয় দিন সকালে।

গতকাল ৩৪৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৫২১ রানে ডিক্লেয়ার করে। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় সেশনে মাত্র এক ঘণ্টায় বাংলাদেশের প্রথম ৪ ব্যাটার আউট হন।  ১১ রান করতেই ৪ উইকেট পড়ে যায়।

রানের খাতা খুলতেই পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনজুরিতে সুযোগ পাওয়া নাঈম ইসলাম। অভিষেক টেস্ট ডাক দিয়ে শুরু হলো তার।

ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তুলতে পারেননি প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাট করা অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাস।

ডাক মেরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়কও। ৮ বল খেলে সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শূন্য হাতে। এরপর ৮ রান করা লিটনকে ফেরান বোল্ট।

এর আগে সকালে ৯৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শতকের দেখা পান কনওয়ে। তবে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোতে রান আউট হয়ে থামেন ১০৯ রানে। কনওয়ের ১৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও এক ছক্কা।

কনওয়ে ফেরার পর ল্যাথামের সাথে জুটি গড়েন রস টেলর।  এরপর জোড়া আঘাত হানেন ইবাদত। 

৩৯ বলে ২৮ রান করা টেলরকে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান তিনি।  এরপর ইবাদতের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হেনরি নিকোলস।

মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে ড্যারিল মিচেলকে শিকার করেন শরিফুল।  বিরতির পর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন টম ল্যাথাম ও টম ব্লান্ডেল। মুমিনুলের বলে আউট হওয়ার আগে ৭৬ রানের জুটি গড়েন তারা। 

মুমিনুল হকের বলে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন ল্যাথাম। এর আগে ৩৭৩ বলে ৩৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫২ রান। ইনিংস খেলেন কিউই অধিনায়ক। 

ব্লান্ডেল অর্ধশতক হাঁকানোর পর ইনিংস ঘোষণা করে ব্ল্যাকক্যাপসরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড ৫২১/৬ ডিক্লেয়ার (১২৮.৫ ওভার)
ল্যাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, ব্লান্ডেল ৫৭*, ইয়ং ৫৪, টেলর ২৮;
এবাদত ২/১৪৩, শরিফুল ২/৭৯।

বাংলাদেশ ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার)
ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১, লিটন ৮, সাদমান ৭, নাঈম ০, শান্ত ৪, মুমিনুল ০;
বোল্ট ৫/৪৩, সাউদি ৩/২৮, জেমিসন ২/৩২।

0/একটি মন্তব্য পোস্ট করুন/Comments

নবীনতর পূর্বতন