ওয়ার্নার-মার্শ ঝড়ে সেমিফাইনালের পথে অস্ট্রেলিয়া
২২ বল হাতে রেখে আট উইকেটের এই জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পথেই থাকল অজিরা। কয়েক ঘণ্টা পর গ্রু-১ এর অপর ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা হারলে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয়ে সেমিফাইনালে উঠে যাবে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও রান রেটের হিসেবে সেমির আশা টিকে থাকবে অজিদের।
শনিবার (৬ নভেম্বর) আবুধাবির জায়েদ স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৫৮ রান করতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ফর্মে থাকা অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আকিল হোসেনের বলে সরাসরি বোল্ড হয়েছেন ১১ বলে ৭ রান করে।
তবে সেই ধাক্কাটা বুঝতেই দিলেন না অনেকদিন অফ ফর্মে থাকার পর গত ম্যাচে রান পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার। মিচেল মার্শের সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তুলে ক্যারিবিয়ানদের কোনো সুযোগই দেননি ওয়ার্নার।
রান রেটে এগিয়ে থাকতে শুধু জয় নয়, বড় জয় প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার। আবুধাবির ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের সুবিধা নিয়ে ওয়ার্নার-মার্শ সেই দাবি মিটিয়েছেন দারুণভাবে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৭৫ বল খেলে ১২৪ রান তোলেন দুজন। মাত্র ৩২ বলে ৪ চার ২ ছয়ে ৫৩ রান করে ফিরলেও ওয়ার্নার অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।
১৬.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৬১ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার তখন ৫৬ বল খেলে ৮৯ রানে অপরাজিত। তার ইনিংসে চারের মার ৯টি, ছক্কা ৪টি।
এর আগে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩০ থেকে ৩৫ রানে যেতে তিন উইকেট হারিয়ে বসেন ক্যারিবিয়ানরা। দলীয় ৭০ রানের মাথায় এভিন লুইস (২৬ বলে ২৯ রান) ফিরলে বিপদ বাড়ে ক্যারিবিয়ানদের।
তবে তারপর অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড দারুণভাবে দাঁড়িয়ে গেলে সেই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পোলার্ড একপ্রান্ত আগলে রেখে এগিয়েছেন। শেষ দিকে একটা ঝড় তুলেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। যাতে ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পোলার্ড ৩১ বলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৪৪ রান করেন। রাসেল ৭ বলে ১টি চার ২টি ছয়ে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া শিমরন হেটমায়ার ২৮ বলে করেন ২৭ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচায় চারটি উইকেট তুলে নেন জশ হ্যাজেলউড। একটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন