জামাল ভূঁইয়ার গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধেই সমতায় ফেরে মালদ্বীপ। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে তপু বর্মণের গোলে ১৮ বছর পর দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। শ্রীলঙ্কার চার জাতি প্রতিযোগিতায় জামালদের ৩ পয়ন্ট অর্জনে পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস পেয়েছেন প্রথম জয়। তাই তো কলম্বোর ম্যাচটি ৩৫ বছর বয়সী কোচের কাছে ‘স্পেশাল’ হয়ে রইলো।কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে বাংলাদেশ আগের ম্যাচের চেয়ে সাবলীল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আলী আশফাক-আসাদুল্লাহদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে পেয়েছে প্রতিযোগিতাটির প্রথম জয়। এমন জয়ের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে লেমস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ১৮ বছর ধরে যাদের হারাতে পারিনি, সেই মালদ্বীপকে আমরা হারাতে পেরেছি। অবশ্যই আমরা খুশি। তবে আমি মনে করি, এই অভিযানে এটা আমাদের জন্য একটা ধাপ। যখন আপনি এমন একটা দলকে হারাবেন, তখন সেটা খুবই বিশেষ কিছু। এটাই ফুটবল... এবং আমরা এই জয় উদযাপন করবো। কখনও কখনও আমি খুব বেশি উপভোগ করতে পারি না, কিন্তু এই জয়টা আমাদের জন্য খুবই স্পেশাল।’
প্রথম ম্যাচে সেশেলসের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে ১-১ গোলে ড্র করছিল বাংলাদেশ। মালদ্বীপের বিপক্ষে একই পরিস্থিতি হলেও শেষের দিকে লক্ষ্যভদ করে দল জিতেছে। সেই ম্যাচের পর শিষ্যদের উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছেন লেমস, “তবে আমি আরও চাই। এমনকি সেশেলসের কাছে পয়েন্ট হারানোর পরও ছেলেদের বলেছিলাম, ‘আমাদের এখনও সুযোগ আছে। তোমরা দাবার মতো চেকমেট এবং একটা ম্যাচ করে ভাবো।’ ছেলেরা আজ সেভাবে ভাবতে পেরেছে।”
তবে এখনই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ভাবছে না লাল-সবুজের দল। আদতে শিষ্যদের ওপর কোনও চাপ তৈরি করতে চাইছেন না পর্তুগিজ কোচ, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে ছেলেদের আমি কিছু বলিনি। মালদ্বীপ মানসম্পন্ন একটি দল। এ ম্যাচের আগে আমি ছেলেদের কোনও লক্ষ্য বেঁধে দেইনি। এটা অনেক সময় চাপ তৈরি করে। সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু ছেলেদের বলেছি, ‘এটা নিয়ে তোমাদের ভাবার দরকার নেই। মালদ্বীপ ম্যাচ নিয়ে ভাবো।’ আমরা একটা ভুল করেছি, ওরা সুযোগটা নিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা সেটা করিনি, একটা দল হিসেবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং সে কারণে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করলাম।”
দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে লেমসের বক্তব্য, “দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরলাইন ২-১ হওয়াটা আমাদের জন্য অবশ্যই টার্নি পয়েন্ট ছিল। এ অর্ধে আমাদের ভুগতে হয়েছে। আসলে মালদ্বীপের মতো দলের বিপক্ষে খেলতে নামলে ভুগতে হবে। তবে ছেলেদের প্রতি বার্তা ছিল, বল পজেশনে আমরা পিছিয়ে থাকবো কিন্তু ভীত হওয়া যাবে না। পজেশনে ওরা এগিয়ে থাকবে, সুইচ করবে কিন্তু আমাদের শেপটা ধরে রাখতে হবে এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমি মনে করি দ্বিতীয়ার্ধে তারা কোনও সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচের আগে ছেলেদের বলেছিলাম, ‘তোমরা দুই-তিনটা সুযোগ পেতে পাবো এবং অবশ্যই তোমাদের সেটা কাজে লাগাতে হবে।’ ছেলেরা দুটি কাজে লাগাতে পেরেছে।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন