শেষদিকে গোল হজম করে বাংলাদেশের ড্র | In the end, Bangladesh drew the goal

 


ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭ নম্বরে। তাদের চেয়ে ১২ ধাপ পিছিয়ে রয়েছে সিশেলস। আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। কিন্তু বিরতির পর খেই হারাল তারা, ছুটে গেল নিয়ন্ত্রণ। ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরা সিশেলস ঘুরে দাঁড়াল শেষদিকে। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে তারা ফিরল সমতায়।

বুধবার শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিশেলসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। এতে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের কোচ হিসেবে মারিও লেমোসের সূচনাটা সুখকর হয়নি। দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই ছিল তার অধীনে জামাল ভূঁইয়াদের প্রথম ম্যাচ।

উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই গোল পরে শোধ করে দেন সিশেলসের বদলি মিডফিল্ডার রশিদ ড্যান ল্যাবরোজ।

ম্যাচের ১৪তম মিনিটে বাংলাদেশের গোলমুখে আক্রমণ চালায় সিশেলস। অনেক দূর থেকে দলটির অধিনায়ক স্টেইনো স্টিভ বেনোয়া মারি নেন শট। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় বল আয়ত্তে নেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। 

১৭তম মিনিটে ইব্রাহিমের দর্শনীয় গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নিজেদের অর্ধ থেকে টুটুল হোসেন বাদশা বল বাড়ান সামনে। সাদ উদ্দিনের পায়ে লাগার পর তা পেয়ে যান ইব্রাহিম। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে তিনি ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। এরপর ডান পায়ের জোরালো কোণাকুণি শটে জাল কাঁপান তিনি।

ছবি: বাফুফে

দুই মিনিট পরই বাড়তে পারত ব্যবধান। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সিশেলসের গোলরক্ষক অ্যালভিন রডি। বাম প্রান্ত দিয়ে সাদ ক্রস ফেলেন ডি-বক্সে। সুমন রেজার হেডের পর গোলমুখে বল পেয়ে যান ইব্রাহিম। তার শট পা দিয়ে আটকে দেন রডি।

৩০তম মিনিটে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় বাংলাদেশের একটি গোছানো আক্রমণ দেখেনি সাফল্যের মুখ। বাম প্রান্ত থেকে ডি-বক্সে ফাঁকায় থাকা জামালকে খুঁজে নেন ইয়াসিন আরাফাত। তবে অনেকটা সময় নিয়ে তিনি যে দুর্বল শট নেন, তা থাকেনি লক্ষ্যেই।

৪২তম মিনিটে ফের হতাশ হতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে সাদ ডি-বক্সে ক্রস করার পর বল পেয়ে যান রাকিব হোসেন। তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত ইব্রাহিমকে। কিন্তু ভালো জায়গায় চাপহীন থেকেও বাম পায়ে এলোমেলো শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

৬২তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান সিশেলসের র‍্যান্ডলফ ডিন এলিজাবেথ। তাকে কেবল পরাস্ত করতে হতো জিকোকে। তবে তার নেওয়া শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। দুই মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে আরেকটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। জিকোকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি ডিন স্টেফান হিউজ।

৮৮তম মিনিটে বাংলাদেশের হৃদয় ভাঙেন ল্যাবরোজ। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে ডান পায়ের গড়ানো শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। গোলরক্ষক জিকোর আয়ত্তের মধ্যে থাকলেও সঠিক সময়ে ঝাঁপাতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের শেষদিকে হয় তুমুল লড়াই। ৮৯তম মিনিটে বাংলাদেশের বদলি ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিলের হেড পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। যোগ করা সময়ে সিশেলসের জোসিপ হেনরির ক্রসে দূরের পোস্টে এলিজাহ উডলির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুদল।

বাংলাদেশ একাদশ:

গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো;

ডিফেন্ডার: তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াসিন আরাফাত ও সুশান্ত ত্রিপুরা;

মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আতিকুর রহমান ফাহাদ, রাকিব হোসেন ও সাদ উদ্দিন;

ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা।

0/একটি মন্তব্য পোস্ট করুন/Comments

নবীনতর পূর্বতন