সম্প্রতি ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে একটি অনলাইন পোর্টালকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। যেখানে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এবং নানা বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া উঠে এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবনেরও অনেক প্রসঙ্গ।
এটা সবারই জানা যে, সাকিবের পরিবার এখন থিতু হয়েছে সুদূঢ় যুক্তরাষ্ট্রে। এমনকি তার বড় মেয়ে আলাইনা আমেরিকার একটি স্কুলে নিজের পড়াশুনার হাতেখড়িও করেছে।
বায়োবাবলে ক্রিকেটারদের জীবন এমনিতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তবে খেলা শেষে তবুও ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পায়। কিছুটা প্রশান্তিও মেলে। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে তেমনটাও ঘটে না। কারণ স্বল্প সময়ের ছুটি নিয়ে এতদূরের পথ যেতে আসতেই ফুরিয়ে যায়। আর তাই জানতে চাওয়া হয়, পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট হয় কি না।এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, অবশ্যই কষ্ট হয়। তিনি বলেন, এমন জায়গায় আমাকে ফ্লাই করতে হয়, যেখানে যাওয়ার পর ফরম্যালিটি মেইনটেইন করতেই চার দিন লাগে, আর আসার পর লাগে সাত দিন। সাত আর চার এগারো আর চার দিন ট্রাভেল, তার মানে একেকবারেই পনেরো দিন চলে যাচ্ছে জার্নিতে। এটা যে কারও জন্য অনেক বেশি কঠিন।
এরপরই সাকিব বলেন, মানুষ শুধু ভাবে আমি কেন এত ছুটি চাই। খেলতে চাই কি চাই না, কিংবা এরকম না হলে ওরকম হতো! কিন্তু আপনি এটা চিন্তা করেন তো আমি কতটা ত্যাগ স্বীকার করছি। মানুষ শুধু সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু আমার ত্যাগটা দেখে না। আপনার তিনটা বাচ্চা থাকলে, আপনার অবশ্যই তাদেরকে দেখতে মন চাইবে।
তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ বাদই দিলাম, পৃথিবীতে এমন একটা খেলোয়াড় দেখাতে পারবেন না, যে মাসের পর মাস বছরের পর বছর পরিবার ছাড়া থাকছে। কিন্তু আমার সেটাই করতে হচ্ছে।
এসময় তিনি বলেন, আমি যখন ছুটি পেলে পরিবারের কাছে যাই, তখন আমার মেজো মেয়ে আমাকে ডাকে ‘মামা’ ‘মামা’ বলে। নিজের বাবাকে যদি মামা-মামা বলে ডাকে তখন কেমন লাগে! আমার মেয়ের ধারণা, তার বাবা তো টিভিতে, আর টিভিতেই আছে। যে সামনে আছে, সে মামা। এরপর আসার কয়েকদিন আগে যখন বাবা বলে ডাকা শুরু করে তখন তো চলে আসি।
এসময় সাকিব বলেন, বলা যায় না, পরের বার গেলে হয়ত চাচা, মামা কিংবা খালু বলেও ডাকতে পারে। আসলে মানুষ এগুলো কখনো দেখে না। আর আমিও তাই কে কি বললো এটা নিয়ে ভাবি না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন