মিঠুন ‘ওপেনার’ হলেন যেভাবে | The way Mithun became the 'opener'


বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের হয়ে প্রথমবার ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে পাওয়া গেছে মোহাম্মদ মিঠুনকে। নতুন এই পজিশনে নেমেই বাজিমাত, খেলেছেন ১৭৬ রানের ইনিংস। ঠিক কী কারণে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে নামা, সেটাই জানিয়েছেন মিঠুন।

আজ (সোমবার) বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় ডানহাতি ব্যাটার বলেছেন, ‘ওপেনিংয়ের ব্যাপারে আমার তিন জনের সঙ্গে কথা হয়। তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। এরপর সিদ্ধান্ত হয় মধ্যাঞ্চলের হয়ে বিসিএলে আমি ওপেন করবো। সে অনুযায়ী আজ ওপেন করলাম এবং ভালো করলাম। ভালো লাগছে।’

ওপেনিংয়ে নামার সিদ্ধান্তে তিন জনের কথা বলেছেন মিঠুন। তারা কারা ছিলেন, এই ব্যাটার পরিষ্কারও করেছেন, ‘প্রথম কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আমাকে ওপেনিংয়ের পরামর্শ দেন। এরপর টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে ওপেনিংয়ের বিষয়ে আমি কথা বলি। এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তারা আমাকে সমর্থন দেন। অনুপ্রাণিত করেন। এরপর এবারের বিসিএলে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে ওপেন করার সিদ্ধান্ত নিই। ওয়ালটনও আমার ওপর আস্থা রাখে। এতেই মেলে সাফল্য।’

দারুণ এক ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পর মিঠুন বলেছেন, ‘অবশ্যই রান করলে সবসময় ভালো লাগে। রেকর্ডের ব্যাপারটা আসলে মাথায় ছিল না। এত কিছু চিন্তা করে হয় না। আমার শুধু লক্ষ্য ছিল একটি বড় জুটি গড়ার। মিজানও (মিজানুর রহমান) দারুণ একটি ইনিংস খেলেছে। আমরা দুজন সেট ছিলাম। চেষ্টা করেছি জুটিটা যত বড় করার।’

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মিঠুনের সর্বোচ্চ ইনিংস ১৮৬। সোমবার ১১ রানের জন্য ওই সংগ্রহ টপকাতে পারেননি। সেটি নিয়ে যদিও কোনও আক্ষেপ নেই তার, ‘আমি আসলে ওভাবে কখনও চিন্তা করি না। সবসময় আমি ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর চেষ্টা করি এবং চেষ্টা করি যেখানেই খেলি, দলে অবদান রাখার। আমার কন্ট্রিবিউশন যেন দলের উপকার করে। শুধু এটুকুই। মাত্র একটা ইনিংস হয়েছে। এখনও অনেক বাকি। চেষ্টা করবো এটা ধরে রাখার।’ 

0/একটি মন্তব্য পোস্ট করুন/Comments

নবীনতর পূর্বতন