বাংলাদেশকে আগেভাগেই পরখ করার সুযোগ করে দিলেন ওয়াগনার ও কনওয়ে। প্রস্তুতি ম্যাচের দল ঘোষণার সময় কনওয়ে এবং ওয়াগনারের উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা ঠাট্টার সুরে এমন কথা বলেছিল কিউই বোর্ড- নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। দু’দিনের ম্যাচে ব্যাট না হাসলেও মূল লড়াইয়ে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন কনওয়ে। বছরের প্রথমদিনে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছেন তিনি। ১২২ রান করা কিউই ব্যাটারের স্বচ্ছন্দ ইনিংস থামে মুমিনুল হকের বলে। আর একজন অনিয়মিত স্পিনারের বলে আউট হয়ে হতাশ কনওয়ে।৭৯.১তম ওভারে লেগ স্টাম্পের ওপর করা মুমিনুলের ডেলিভারিটি বের হয়ে যাচ্ছিল। বাজে শটে উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাসের হাতে তুলে দেন কনওয়ে। সাজঘরে ফেরার পথে হতাশায় বারবার মাথা নাড়াচ্ছিলেন।
বোঝাই যাচ্ছে, এমন বলে আউট হওয়াটা প্রত্যাশিত নয়। প্রথম দিনের খেলা শেষে কনওয়ে বলেন, ‘এটা হতাশার। দীর্ঘ এক ইনিংস খেলার পর এমন অনিয়মিত বোলারের বলে কেউ আউট হতে চায় না। তবে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
২২৭ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কা হাঁকিয়ে ১২২ রান করেন ডেভন কনওয়ে। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক করার পথে একটি রেকর্ডও গড়েন তিনি। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে শতক তুলে নিয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠে প্রথম সেঞ্চুরি করে কনওয়ে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু।’
প্রতিপক্ষের মাঠেও প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে শতক করার কৃতিত্ব রয়েছে কনওয়ের। গত বছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট অভিষেকে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। পরে শতককে রূপ দেন দ্বিশতকে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন