ফেডারেশন কাপের শুরু থেকেই সূচির গোলমাল আর কমলাপুর মাঠের টার্ফ খারাপ হওয়ায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল ফুটবল জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংস। সঙ্গী হয়েছিল উত্তর বারিধারা ক্লাব। এই দুটি দল লিগে যোগ দেয়নি। কিন্তু সমস্যা সমাধান না করে, মাঠের উন্নয়ন না করে বাফুফে এই দুটি দলকে 'সাজা' দিয়েছে। এরপর আজ সোমবার মোহামেডান স্পোর্টিং বনাম স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের মধ্যকার ম্যাচে যে ঘটনা ঘটল, সেটা সার্কাস বললেও কম বলা হবে!
নির্ধারিত সময়ে ম্যাচই ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এরপর যা হয়, দুই দলের খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুমে গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে ফেরার বাসে ওঠে। মাঠের ফ্লাডলাইট নিভে যায়। কয়েকজন বাসের ভেতর ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। বাসের ইঞ্জিনও চালু হয়ে গেছে, সেই মুহূর্তে খবর আসে সবাইকে আবার মাঠে যেতে হবে! কেন? 'এ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ নির্ধারণ করতে ম্যাচটির ফলাফল হওয়া প্রয়োজন। বাধ্য হয়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা আবার মাঠে প্রবেশ করেন!
গা গরম করার পর শুরু হয় পেনাল্টি শ্যুটআউট। টাইব্রেকারে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে মোহামেডান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আজ কমলাপুরের মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে! সেটাও দেশের শীর্ষ একটি ফুটবল লিগে। এর পর থেকে কয়েকজন খেলোয়াড় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মাঠের আলো নেভার পর আয়োজকদের টাইব্রেকারের কথা মনে হলো! কেন আগে থেকে সেই ব্যবস্থা ছিল না? দেশের ফুটবল আসলে কাদের হাতে?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন