জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১৮ রানের। সহজ লক্ষ্যই বটে; কিন্তু বিসিবি সাউথ জোনের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ে এই সহজ লক্ষ্যটাই মনে হচ্ছিল অনেক দুরের পথ। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ মিঠুন যখন মাত্র ৭ রানে, আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার যখন মাত্র ৮ রানে আউট হয়ে যান, তখন সেন্ট্রাল জোনের শিরোপা আশা করাটাও ছিল যেন বোকামি।
কিন্তু লেট মিডল অর্ডারে যে শুভাগত হোমের মত ব্যাটার ছিলেন, তা হয়তো দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিকেটাররা খুব বেশি চিন্তাও করেননি। শেষ পর্যন্ত সেই শুভাগত হোমই পার্থক্যটা গড়ে দিলেন। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও হাঁকালেন অনবদ্য সেঞ্চুরি।
শুভাগত অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে। সপ্তম উইকেট জুটিতে শুভাগতকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি। এ দু’জনের ৫৩ রানের জুটির ওপর ভর করেই বিসিএলের ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা জয় করে নিলো ওয়াল্টন সেন্ট্রাল জোন বা মধ্যাঞ্চল।
চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে ২১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল মধ্যাঞ্চল। ৮ রান নিয়ে সৌম্য সরকার এবং ৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন সালমান হোসেন।
শেষ দিন আজ সকালে ব্যাট করতে নেমেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। মেহেদী হাসান রানার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। সালমান হোসেন করেন ৩৭ রান। মাঝে হাসান মাহমুদ আউট হয়ে যান ১ রান করে। তাইবুর রহমান করেন ৩ রান। ৬৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সবাই ভেবেছিল, এবার বুঝি আর পারছে না সেন্ট্রাল জোন। কারণ, পরাজয় প্রায় নিকটবর্তী।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত শুভাগত হোমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৪ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মধ্যাঞ্চল। ফাইনাল সেরার পুরস্কারও জিতে যান শুভাগত।
প্রথম ইনিংসে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল সংগ্রহ করেছিল ৩৮৭ রান। জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ মিঠুনের ডাবল সেঞ্চুরি আর শুভাগতর সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৪৩৮ রান সংগ্রহ করে মধ্যাঞ্চল। তাদের লিড দাঁড়ায় মাত্র ৫১ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল অলআউট হয়ে যায় ২৬৮ রানে। যার ফলে, মধ্যাঞ্চলের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১৮ রানের।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন